নতুন রুটে আসছে ইয়াবা, রোহিঙ্গারা প্রধান বাহক

ডেস্ক রিপোর্ট ◑ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, সমন্বিত অভিযানে একের পর এক মাদককারবারি নিহত হওয়ায় ব্যবসায় ধস নেমেছে।

বিশেষ করে সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে পুরনো রুটে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেড়েছে। নাফ নদী দিয়েও ইয়াবার চালান কম আসছে। তবে কারবারিরা অন্তত ২০টি নতুন রুট দিয়ে ইয়াবা নিয়ে আসছে।

নতুন এসব রুট হচ্ছে কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির দুর্গম পথ। অধিকাংশ চালানে ব্যবহার করা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের। গত জানুয়ারি মাসে ইয়াবা পাচারের সময় পৃথক ঘটনায় বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন রোহিঙ্গা নিহত হন। এর মধ্যে ৬ জানুয়ারি ২ জন, ১৮ জানুয়ারি ১ জন ও ৩১ জানুয়ারি ১ জন রোহিঙ্গা নিহত হন।

বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, আমাদের অবজারভেশন হচ্ছে ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশিদের কাছ থেকে রোহিঙ্গাদের হাতে চলে যাচ্ছে। রোহিঙ্গারা অনেক বেশি ইয়াবা কারবারে জড়িয়ে পড়ছে। ওই পাড় থেকে (মিয়ামানমার) তারাই ইয়াবা আনছে। ক্যাম্পের ভেতরে অভিযান চালাতে গেলে মুহূর্তের মধ্যেই খবর ছড়িয়ে পড়ে। আরও একটি বিষয় হচ্ছে, রোহিঙ্গা ইয়াবাকারবারিরা অনেকটা ভাসমান।

ইয়াবার রুট পরিবর্তন হচ্ছে উল্লেখ করে বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, তারা নতুন নতুন রুটে ইয়াবা আনছে। এমনকি ভারতের ভেতর দিয়ে সিলেটের জকিগঞ্জ, কুমিল্লার সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া দিয়েও ইয়াবা নিয়ে আসছে। আবার নৌপথেও ইয়াবা আসছে।

র‌্যাব ৭-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল বলেন, আমাদের হিসাবে ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে মাদক উদ্ধার বেড়েছে। তবে ২০১৯ সালে সেটি কমেছে। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে এমন চালানও ধরা পড়েছে, যেখানে ২৮ লাখ পর্যন্ত ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে। ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ চালান যেটি ধরা পড়েছে, তার পরিমাণ হচ্ছে ৮ লাখ ১০ হাজার পিস। এটি টেকনাফ থেকে ধরা হয়। রোহিঙ্গারা ইয়াবাকারবারে জড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের কর্মসংস্থান নেই। তা ছাড়া মিয়ানমারে তাদের যাতায়াত আছে, তারা রাস্তাঘাট চেনে। তারাই অধিকাংশ সময় বাহক হিসেবে কাজ করে।